বাংলাদেশের ৪৬টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশের সুবিধার বিষয়টির ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছে ভারতের বস্ত্রপণ্য প্রস্তুতকারকদের সংগঠন। অন্তত তিনটি সংগঠন সর্বসম্মতভাবে জানিয়েছে, এর ফলে বস্ত্রপণ্যের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বিপদে পড়বে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি রেডিওর খবরে বলা হয়, বস্ত্রপণ্য প্রস্তুতকারকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ চুক্তির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সংস্থাগুলো চুক্তির বাস্তবায়ন রুখতে কিছুটা লবিং করাও শুরু করেছে।
কিন্তু তাঁদের অনেকে এটাও মানছেন যে আপাতত কিছুই করা সম্ভব নয়।
দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বস্ত্রশিল্প প্রস্তুতকারকদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইলের মহাসচিব ডি কে নায়ার বিবিসিকে জানান, তাদের (বাংলাদেশের) শ্রমিক সস্তা, বিদ্যুত্ সস্তা, ফলে উত্পাদন খরচও কম। এ কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ বছরে রপ্তানি করে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বস্ত্রপণ্য। আর ভারত রপ্তানি করে মাত্র এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য।
এ রকম অবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারকে পুরোপুরি খুলে দেওয়ায় বিরাট সমস্যা হবে বলে মন্তব্য করেন নায়ার। তিনি আরও জানান, ৪৬টি পণ্য ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪৫টি পোশাক ও পোশাক তৈরি পণ্য। এ ধরনের পণ্য বাজারে এলে অনেক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। মালিকদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকেরাও।
কলকাতার ভারত চেম্বার অব কমার্সের সচিব কেকা শর্মা জানান, এর ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হবে। কলকাতায় রেডিমেট ও হোসিয়ারি পণ্যের বড় বাজার রয়েছে। এ বাজারের পণ্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরাও তৈরি করে। স্বনির্ভর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪৬টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে ভারতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি রেডিওর খবরে বলা হয়, বস্ত্রপণ্য প্রস্তুতকারকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ চুক্তির বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সংস্থাগুলো চুক্তির বাস্তবায়ন রুখতে কিছুটা লবিং করাও শুরু করেছে।
কিন্তু তাঁদের অনেকে এটাও মানছেন যে আপাতত কিছুই করা সম্ভব নয়।
দিল্লি ও মুম্বাইয়ের বস্ত্রশিল্প প্রস্তুতকারকদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইলের মহাসচিব ডি কে নায়ার বিবিসিকে জানান, তাদের (বাংলাদেশের) শ্রমিক সস্তা, বিদ্যুত্ সস্তা, ফলে উত্পাদন খরচও কম। এ কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ বছরে রপ্তানি করে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বস্ত্রপণ্য। আর ভারত রপ্তানি করে মাত্র এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য।
এ রকম অবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারকে পুরোপুরি খুলে দেওয়ায় বিরাট সমস্যা হবে বলে মন্তব্য করেন নায়ার। তিনি আরও জানান, ৪৬টি পণ্য ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪৫টি পোশাক ও পোশাক তৈরি পণ্য। এ ধরনের পণ্য বাজারে এলে অনেক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। মালিকদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শ্রমিকেরাও।
কলকাতার ভারত চেম্বার অব কমার্সের সচিব কেকা শর্মা জানান, এর ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হবে। কলকাতায় রেডিমেট ও হোসিয়ারি পণ্যের বড় বাজার রয়েছে। এ বাজারের পণ্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরাও তৈরি করে। স্বনির্ভর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৪৬টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে ভারতে প্রবেশের সুযোগ পাবে।
No comments:
Post a Comment